শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
ফিলিস্তিনি জনগণের বেঁচে থাকার এবং তাদের নিজস্ব রাষ্ট্র থাকার অধিকার রয়েছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাই আমাদের উচিত তাদের (ফিলিস্তিনিদের) সাহায্য করা এবং এই আক্রমণ ও যুদ্ধ বন্ধ করা।
ফিলিস্তিনি জনগণের নিজস্ব রাষ্ট্রের অধিকার থাকা উচিত, এর কোনো বিকল্প নেই। সংঘাত বন্ধে জাতিসংঘ যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের কথা বলেছে, সেই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হওয়া উচিত বলেও মনে করেন শেখ হাসিনা।
এ সময় তিনি নারী ও শিশুসহ ফিলিস্তিনের জনগণকে সমর্থন আর সাহায্য পাঠাতে বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন আক্রমণকে বাংলাদেশ কখনো সমর্থন করবে না।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর থেকে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের আক্রমণে ফিলিস্তিনের নারী ও শিশুসহ ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ও ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।
জাতিসংঘের হিসাবে, গাজার ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও ওষুধের সংকট তীব্র হয়েছে। ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৬০ শতাংশ ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম সরকারি সফরে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মিউনিখ পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে অবস্থানকালে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করেন।
প্রধানমন্ত্রী জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি এবং ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এবং আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় শেখ হাসিনা যুদ্ধ, বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গাজায় হামলা বন্ধের আহ্বান জানান।